সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ
যান্ত্রিক নগর জীবন থেকে বের হয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু প্রশান্তি পেতে কার না মন চায়। তাই তো সময় পেলেই ছুটে যাই প্রকৃতির মাঝে মন খুলে নিশ্বাস নিতে।
পঞ্চগড়ে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ নিয়ে বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন পড়ার পর থেকেই ভাবছিলাম বাগান ঘুরে আসার। কিন্তু করোনার কারণে সময় ও সুযোগ হচ্ছিল না। ঈদ উপলক্ষ্যে নিজ বাড়িতে আসা। কিন্তু ঈদে বাড়ি ফিরলেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে পঞ্চগড় জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভায় আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। এদিকে ঢাকায় ফেরত যাওয়ারও দিন ঘনিয়ে এসেছে।
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের নয়াদিঘী এলাকায় রেলপথ মন্ত্রীর এপিএস ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. রাশেদ প্রধানের ড্রাগন ফলের বাগানের কথা অনেক আগে থেকেই অবগত ছিলাম। দেখতে যাব কিন্তু সুযোগ কোথায়? বাড়িতে যেহেতু অবস্থান করছি; তাই ফোন দিলাম সাংবাদিক ও বোদা প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ভাইকে। নজরুল ভাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বললেন বোদা প্রেসক্লাবে চলে আসার জন্য। যথা সময়ে ভাগ্নে মোবারককে সাথে নিয়ে চলে গেলাম। সেখানে বিটিভির পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি আমির খসরু লাভলু ভাইও এসে উপস্থিত। লাভলু ভাইকে পেয়ে আরও আনন্দিত হলাম। নজরুল ও লাভলু ভাই আমাদের নিয়ে বাগানের দিকে রওনা দিলেন। বাগানে প্রবেশ করে অবাক হলাম, গ্রামের ভেতর এত সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি বাগান।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষে সাফল্যের পর এবার পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মারেয়া ও নয়াদিঘী এলাকায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ড্রাগন ফল চাষ। অনেকে প্রথমে শখের বশে অল্প জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে সাফল্য পেয়ে শুরু করেছেন বাণিজ্যিক চাষাবাদ।
এ ছাড়া পঞ্চগড়ের জলবায়ু ও মাটি কমলা চাষের উপযোগী হওয়ায় কমলা চাষকেও বাস্তবতায় রূপ দিয়েছে এ জেলার মানুষ। বর্তমানে পঞ্চগড়ে কমলা চাষের ফলে পাল্টে যাচ্ছে এ জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা। পঞ্চগড়ের চা চাষের সমৃদ্ধি যেমন আমাদের অর্থনীতিতে অনুকূল প্রভাব ফেলেছে; তেমনি এ প্রভাবের সাথে যুক্ত হয়েছে আরেকটি মাত্রা। তা হলো রসালো ফল ড্রাগন চাষ।