বুধবার, ১২ই মার্চ,
২০২৫

  • অন্যান্য লাইফস্টাইল

  • যেভাবে বুঝবেন জীবনযুদ্ধে অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন


    সোনারদেশ ২৪ ডেস্ক


    শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি,

    ২০২৫

    /

    22 বার পড়া হয়েছে


    a

    সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ


    সফলতা একদিনে আসে না। এজন্য দিনে দিনে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। মানুষের কিছু অভ্যাস সফলতার পথে এগিয়ে দেয়। যে অভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে সফলতার দিকে নিয়ে যায় সেগুলো নিয়েই এই আর্টিকেল। মিলিয়ে দেখুন কোন কোন অভ্যাস রপ্ত করতে পেরেছেন।


    অপরাধবোধ ছাড়াই ‘না’ বলতে শেখা: সবার সব কথায় বা পরামর্শে ‘হ্যাঁ’ বলার প্রয়োজন নেই। সবার সামনে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে যাওয়াটা এক ধরনের বোকামি। ধরুন আপনি এমন একটি অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন, কারণ সেখানে যাওয়া হয়তো আপনার মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারতো।–এই যে আপনি যাননি এটাই আপনার সক্ষমতা। ‘না’ বলার ক্ষমতা আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ ও উজ্জীবিত রাখতে সহায়তা দিতে পারে। সবকিছুতে ‘হ্যাঁ’ বলা মানেই উদ্যমী ও উদার হওয়া নয়। সবার সবকিছুতে হ্যাঁ বলতে গেলে আপনি মানসিক চাপে পড়ে যেতে পারেন।


    ডেইলি রুটিন তৈরি: রুটিনের বাইরেও প্রতিদিন এক বা একাধিক কাজ করা লাগতে পারে। কিন্তু কিছু কাজ করা উচিত রুটিন অনুযায়ী। রুটিন অনুযায়ী কাজ করার অভ্যাস আপনাকে স্থিতিশীলতা দিতে পারে। যেমন সকালে প্রার্থনা করা, বই পড়া, ইয়োগা করা, হাঁটাহাঁটি করা বা বিছানা গোছানো— এসব অভ্যাস সারাদিনকে সুসংগঠিত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থিতিশীল রুটিন মানসিক চাপ কমিয়ে মনোযোগ বৃদ্ধি করে। আপনি যদি ডেইলি রুটিন মেনে চলেন তাহলে ধরে নেওয়া যায় আপনি ধারাবাহিকভাবে সফলতার দিকেই এগোচ্ছেন।


    বড় কোনো ভয়কে জয় করা: এরই মধ্যে আপনি কি কোনো বড় ভয় জয় করে ফেলেছেন?— উত্তরটা যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে আপনি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যেমন—জনসম্মুখে কথা বলা, নিজের পছন্দের ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া, একা ভ্রমণে বের হওয়া ইত্যাদি। বিখ্যাত লেখক মার্ক ম্যানসনের মতে, ‘আমরা যত বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করব, তত বেশি আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’ দায়িত্ব নেওয়াকে ভয় জয় করার সঙ্গে তুলনা করা হয়। যা মূলত আপনার শক্তিরই প্রমাণ করে।


    ক্ষমা করতে শেখা: জীবন চলার পথে আপনার নিজের কোনো বড় ভুল থাকতে পারে, সেই ভুল নিয়ে দিনের পর দিন নিজেকে দোষারোপ করলেও কিছুই বদলাবে না। বরং নিজেকে ক্ষমা করলে নতুনভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। একইভাবে অন্যের প্রতি কোনো রাগ, ক্ষোভ পুষে রাখলে আপনার মানসিক অস্বস্তি বাড়তে পারে। অন্যকে ক্ষমা করে দিয়ে মানসিক স্বস্তি খুঁজে পেতে পারেন-আর এই কাজটি আপনার মানসিক পরিপক্কতার প্রমাণ করে।


    আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা: আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য জরুরি। আপনি কি আপনার আর্থিক পরিকল্পনা করেছেন?—পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনি যদি সঞ্চয় করতে পারেন মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। সামাজিক ও আর্থিক চাপ মোকাবিলা আপনার জন্য ক্রমে সহজ হয়ে উঠবে। আপনি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।


    অন্তত একটি দক্ষতা অর্জন: আপনার কর্মের সহযোগী কোনো দক্ষতা অর্জন আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া আলাদা কোনো সৃজনশীলতা চর্চা করতে পারেন। আপনি যদি নতুন দক্ষতা অর্জনের চেষ্টায় থাকেন তার অর্থ হলো আপনি সফলতার জন্য সুযোগ তৈরি করছেন।


    চাপ সামলানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজে পাওয়া: জীবনে চাপ আসবে। আপনি কতটা সফলভাবে সেই চাপ মোকাবিলা করতে পারছেন—তার ওপর নির্ভর করবে আপনার মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সন্তুষ্টি। জীবনের ছোট ছোট অর্জনগুলোকে সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এতে আপনি মানসিকভাবে শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ‍উঠবেন। এইসব বৈশিষ্ট্য যদি আপনার আচরণে প্রকাশ পায়, তাহলে আপনি ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। কারণ জীবনে বড় কোনো সমস্যা আসলেও আপনি যৌক্তিকভাবে সবকিছু মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। একইভাবে সফলতাকেও আপনি উদযাপন করতে পারেন।


    সংবাদটি শেয়ার করুন


    সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিয়াউল হক
    নির্বাহী সম্পাদকঃ মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ


    যোগাযোগ- মুজিব সড়ক, কমিউনিটি হাসপাতাল ৫ তলা, সিরাজগঞ্জ
    ইমেইল- sonardesh24.corr@gmail.com
    মোবাইল : 01324 977 175, 01716-076444




    Copyright © 2025 - All right reserved by Sonar Desh 24 Ltd