সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১১ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এখানকার চারটি ক্যাম্পের ১০ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে, পাহাড়, জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছয় শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আজাদ মিয়া। তবে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিওদের সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) দাবি করেছে, অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজার ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা। আর জাতিসংঘের শরণার্থী–বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন মারা গেছেন।
নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সলিম উল্লাহ (৫৫), রফিক আলম (২৫), আবদুল্লাহ (৮), আসমাউল (৭), মিজানুর রহমান (৪), বশির আহমদ (৬৫), খতিজা বেগম (৭০), মো. একরাম (৩), এমদাদ উল্লাহ (২৪)।