সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ
ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গত ১২ নভেম্বর তিথি সরকারকে একদিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
একই মামলায় বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তিথির স্বামী শিপলু মল্লিকের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১১ নভেম্বর নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় স্বামীর এক দুঃসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তিথি সরকার এবং রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে তার স্বামী শিপলু মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায় সংস্থাটির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত পা-বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’বলে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ভুয়া ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। নিরঞ্জন বড়াল রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে তিনি বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সিআইডি বলছে তিথি নিজেই নিখোঁজের নাটক সাজান।