লাইফস্টাইল ডেস্কঃ সোনারদেশ২৪:
ইলিশ হোক বা আড়, কিংবা রুই, কাতলা, মৃগেল বাঙালির মাছ ভক্তি বিশ্ববন্দিত। স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের পুষ্টি বৃদ্ধিতে মাছের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে, বলছে একাধিক গবেষণা। বিশেষ করে, তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
শিশু থেকে বয়স্ক, এমনকি পেটরোগারাও নিশ্চিন্তে মাছ খেতে পারে। মাছে যথেষ্ট প্রোটিনের সঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। মাছ হল খনিজ পদার্থ আর ভিটামিনের খনি। অনেকের ছোট মাছ খাওয়ার ঝোঁক আছে। ছোট মাছ বা শিঙি-মাগুর মাছ বেশি পুষ্টিকর এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।

শিঙি-মাগুর অন্য মাছের মতোই পুষ্টিকর, জানান পুষ্টিবিদ। ফাইল ছবি।
নিয়মিত মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কমে। আমেরিকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের উপর এক স্টাডি করা হয়েছে। যাঁরা সপ্তাহে মাত্র একদিন মাছ খান তাঁদের হার্টের অসুখের হার অন্যদের থেকে ১৫% কম।
তৈলাক্ত মাছে থাকে ডিএইচএ অর্থাৎ-ডোকোসাহেক্সানোয়িক অ্যাসিড যা এক ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স (মস্তিষ্কের কোষের ভিত্তি) তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন যেসব ৬০ পেরনো মানুষ সপ্তাহে দু-দিন বা তার বেশিদিন মাছ খান তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে।
বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে ফিশ ডায়েট। ইনস্টিটিউট অফ হেলদি এজিংয়ে ৬৫ – ৯৪ বছর বয়সি ৮০০ ব্যক্তির উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। সেটি বলছে, যাঁরা নিয়ম করে সপ্তাহে দু-দিন মাছ খান তাঁদের অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এমনকি এঁদের ডিমেনশিয়া অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার অসুখ অন্যদের তুলনায় কম। নিয়ম করে মাছ খেলে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের পরামর্শ সপ্তাহে ৩৫০-৪০০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে অনেক অসুখকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। ছোট থেকেই মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভাল হয়। ইলিশ হোক বা পোনা, পাতে রাখুন এক টুকরো মাছ।