ক্রীড়া ডেস্কঃ সোনারদেশ২৪:
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজের তৃতীয় ম্যাচও হারলো বাংলাদেশ লিজেন্ডস। উপুল থারাঙ্গার ঝড়ে ১৮১ রানের লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরুর পর ছন্দ হারায় তারা। নাজিমউদ্দিন ফিফটি করলেও তা বিফলে যায়। শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডসের কাছে ৪২ রানে হারেন রফিকরা। অবশ্য এই সিরিজে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৩৮ রান করেছে তারা ৬ উইকেটে। পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ১৬ পয়েন্টে সবার উপরে লঙ্কানরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তিলকারত্নে দিলশান ঝড় থামান রাজিন সালেহ। ২৩ বলে ৬ চারে ৩৩ রানে এলবিডাব্লিউ হন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। ক্রিজে নামেন উপুল থারাঙ্গা। ষষ্ঠ ওভারটি শেষ হতেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন সনাৎ জয়াসুরিয়া (৪)।
থারাঙ্গার সঙ্গে চামারা সিলভার (২৪) জুটি ৫৩ রানের বেশি হয়নি। মোহাম্মদ রফিখের শিকার হন তিনি। পরে থারাঙ্গারে সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি মোহাম্মদ শরিফ ভাঙেন ফারভিজ মাহরুফকে (১২) আউট করে। ২৯ বলে ফিফটি মারার পর ঝড় তোলেন থারাঙ্গা। শেষ তিন ওভারে ৩ ব্যাটসম্যানের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৫০ রান, যার মধ্যে ৪৬ রানই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের।
একপ্রান্তে থারাঙ্গা ঝড় চলছিল, আর উইকেটও পড়ছিল। শেষ ওভারে ২০ রান নেন। ৪৭ বলে সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু সিঙ্গেল নেওয়ার পর থারাঙ্গা দ্বিতীয় রানটি নিতে গেলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে নুয়ান কুলাসেকারা আউট হন। ১১ চার ও ৫ ছয়ে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন থারাঙ্গা।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রাজিন, রফিক ও শরিফ।
১৮১ রানের বড় লক্ষ্যে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। দুই ওপেনার নাজিমউদ্দিন ও মেহরাব হোসেন রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে নেন তাদের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করে বাংলাদেশ।
৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় দিলশানের বলে মেহরাব ২৭ রানে চামারাকে ক্যাচ দিলে। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ১ ছয়। এই জুটি ভেঙে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরে। দিলশান তার পরের দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট নেন।
নাজিম একপ্রান্ত আগলে রাখলেও হান্নান সরকার (২) ও অধিনায়ক রফিক (৪) বিদায় নেন দ্রুত। মুশফিকুর রহমানকে ৮৫ রানে দলের চতুর্থ শিকার বানান রাসেল আর্নল্ড।
১৬তম ওভারে দিলশানের দ্বিতীয় বলে নিজের দুই নম্বর ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেন নাজিম।
১৯তম ওভারে নাজিমকে ৫৪ রানে ফেরান ধাম্মিকা প্রসাদ। ওই ওভারেই রাজিনকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান ধাম্মিকা। তাতে শেষ ওভারে ৫৯ রানের দরকার ছিল বাংলাদেশের। শেষ ২ বলে খালেদ মাসুদ পাইলট চার-ছয় মেরে হারের ব্যবধান কমান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে দিলশান সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।