২০২৪
7 বার পড়া হয়েছে
এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দুই দুটো সুপার টাইফুনের আঘাতে অনেকটা লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে ফিলিপাইনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। রোববার ষষ্ঠতম সুপার টাইফুন ‘মান-ই’ আছড়ে পড়ার আগে শুক্রবার আরেকটি সুপার টাইফুন ‘উসাগি’ আছড়ে পড়ে।
এতে করে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, রোববার ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় প্রদেশ আরোরায় সুপার টাইফুন ‘মান-ই’ আছড়ে পড়লে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। বিদ্যুতের খুঁটিসহ গাছগাছালি উপড়ে পড়ে। তবে আগাম প্রস্তুতি থাকায় হাজার হাজার মানুষ আগে থেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও ২৩ ফুট (৭ মিটার) উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১শ ৮৫ কিলোমিটার (১শ ১৫ মাইল)।
এই নিয়ে এক মাসে ষষ্ঠবারের মতো সুপার টাইফুন আছড়ে পড়ে ফিলিপাইনকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়।
এ বিষয়ে ফিলিপাইনের জাতীয় আবহাওয়া এজেন্সি পিএজিএএসএ (পাগাসা) জানায়, রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ‘মান-ই’ উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ অরোরায় ঘণ্টায় ২শ ৫৫ কিলোমিটার (১শ ৫৮ মাইল) থেকে ২শ ৩০ কিলোমিটার (১শ ৪৩ মাইল) গতিতে আছড়ে পড়ে।
দেশটির টেলিভিশনের ধারণ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, বড় বড় সামুদ্রিক ঢেউ আরোরা প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ছে। এসময় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনাও ঘটে।
পাগাসা জানিয়েছে, সুপার টাইফুন ‘মান-ই’ যতই স্থলের দিকে অগ্রসর হবে, ততই এটি ভয়ঙ্কর রূপে এবং ভয়ালভাবে আছড়ে পড়ে জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।
এর আগে শনিবার রাতে ‘মান-ই’ মধ্য ফিলিপাইনের কাটানডুয়ানেসে ঘণ্টায় ১শ ৯৫ কিলোমিটার (১শ ২৫ মাইল) গতিতে আছড়ে পড়ে। এতে করে সে অঞ্চলের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং গাছপালাসহ বিদুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।
এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা রোবার্তো মনটেরোলা বলেন, বৃষ্টি কম হলেও প্রচণ্ড ঝোড়ো
বাতাসের সঙ্গে প্রবল শব্দে ভয়াল অবস্থা ধারণ করে সুপার টাইফুন ‘মান-ই’।
তিনি বলেন, এখানে সামুদ্রিক ঢেউ ৭ মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় আছড়ে পড়ে। ‘মান-ই’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় আগে থেকেই ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা সিজার আইডিও বলেন, উত্তর ফিলিপাইনের ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ চার্চসহ শপিংমলে আশ্রয় নিয়েছেন।
সুপার টাইফুন ‘মান-ই’ আছড়ে পড়ার মাত্র ৩ সপ্তাহ আগে লুজোনে আরেকটি সুপার টাইফুনে অন্তত ১শ ৬০ নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৯০ লাখ মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়া হন।