২০২৪
21 বার পড়া হয়েছে
সোমবার (১৮ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে গত শুক্রবার কোরিয়ান পিপলস আর্মির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষকদের চতুর্থ সম্মেলনে কিম এই আহ্বান জানান।
এক দশকের মধ্যে এটি প্রথম এ ধরনের সমাবেশ।
কিম যুদ্ধ প্রতিরোধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক শক্তি শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি সামরিক কর্মকর্তাদের প্রস্তুতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশটি সীমাবদ্ধতা ছাড়াই তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা বিকাশ চালিয়ে যাবে।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার সমালোচনা করেছেন। এটিকে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি প্রধান হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কিম বলেন, “মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইউরোপ ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে তাদের পরিধি বিস্তৃত করছে।”
উপরন্তু, তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য একটি প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহারে করে ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হলো, বৈশ্বিক সামরিক প্রভাব বাড়ানো।”
তবে কিম ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দিতে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করার অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলেননি।
পেরুতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের নেতারা বৈঠক করার সময়টায় কিমের মন্তব্য এলো। সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের নেতারা রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্কের নিন্দা জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।