২০২৫
49 বার পড়া হয়েছে
অবশেষে জয়, বহুল কাঙ্ক্ষিত জয় ধরা দিলো বাংলাদেশ দলের হাতে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে টাইগাররা জয়ের দেখা পায়নি। দু’দলের সর্বশেষ সিরিজও ২-১ ব্যবধানে গেছে লঙ্কানদের পকেটে। তার ওপর বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে। আজও লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন করে তোলেন টপ অর্ডাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। আর বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন টাইগার বোলাররা। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হাসানদের বোলিং তোপে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানেই আটকে দেয় লাল-সবুজের দল। এরপর সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই টাইগাররা ওপেনার। ব্যর্থ হন শান্তও। তবে দলের হাল ধরেছিলেন তাওহীদ হৃদয়-লিটন দাস। এ দুজনের ব্যাটেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ, হৃদয়-লিটনের ৬৩ রানের জুটির সুবাদেই শেষদিকে ধুঁকতে ধুঁকতে ৬ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে আজ টাইগারদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা রাঙাতে পারেননি সৌম্য। ব্যাটিং ইনিংসের তৃতীয় বলেই শূন্য রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন সৌম্য সরকার। ধনঞ্জায়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন তিনি।
এরপর টাইগারদের আরও চাপের মুখে ঠেলে দেন তরুণ তামিম। নুয়ান তুষারার বলে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড আউট হন এই ওপেনারও। ফলে প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন অধিনায়ক শান্ত। দুজন মিলে দেখেশুনে খেলতে থাকেন লঙ্কান বোলারদের। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। এরপর ষষ্ঠ ওভারেই বিদায় নেন শান্ত।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে তুষারার বলে আসালাঙ্কার মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন টাইগার অধিনায়ক। শান্তর বিদায়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন লিটন-হৃদয় জুটি। এ দুজন মিলে লঙ্কান বলারদের দেখেশুনে খেলে গড়েছেন ৬৩ রানের জুটি। একপ্রান্তে লিটন ধরে খেললেও অপরপ্রান্তে আগ্রাসী ছিলেন হৃদয়।
তবে দলীয় ৯১ রানে হাসারাঙ্গার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন হৃদয়। তবে ফেরার আগে ৪ ছয় ও এক চারে ২০ বলে ৪০ রান করেন তিনি। তাঁর মারকুটে ব্যাটিংয়েই জয়ের আশা দেখছে টাইগাররা।