২০২৪
7 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পৌষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এ অনশন কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল শাহরিয়া শুভ নামে রাবি ফোকলোর বিভাগের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে আজও তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পোষ্য কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।
তাদের অভিযোগ, এ বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির কারণেই ছাত্র-জনতসর গণঅভ্যুত্থানের সরকার পতন হয়েছে। কিন্তু এরপরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ক্যাম্পাসে বৈষম্য বাঁচিয়ে রাখতে চায়। তারা পোষ্য কোটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই পোষ্য কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক মারুফ হাসান বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল কোটার বিরুদ্ধে। সেখানে যদি কোটাই থেকে যায়, তাহলে আমরা কীসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলাম। এ বৈষম্য মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, তাই কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অবশ্যই তারা কোটা যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা করার পক্ষে। তাই উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির মীমাংসিত হবে। শিক্ষার্থীরা রাবি উপাচার্যকে আন্দোলনের স্থানে এসে এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় এবার মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য বিবেচনা করা হবে। আর পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও খেলোয়াড় হালে নাতি-নাতনি কোটা নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মঈন উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পোষ্য কোটা এখনও বহাল রাখায় নতুন করে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কোটার ক্ষেত্রে বহাল থাকছে আগের সব নিয়মই।