শনিবার, ২৭শে এপ্রিল,
২০২৪

  • সারাদেশ চট্টগ্রাম

  • মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন অপহৃতরা, পুলিশের দাবি উদ্ধার


    সোনারদেশ ২৪ ডেস্ক


    বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ,

    ২০২৪

    /

    13 বার পড়া হয়েছে


    a

    সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ


    টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে অপহৃত হওয়া ১০ জন ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে পুলিশের দাবি পাহাড় ঘেরাও করে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

    ফেরত আসা অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের এর করাচি পাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে জুনাইদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে ফরিদ (৩৫), নাজির হোছেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪), শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২), রৈক্যং উত্তর পাড়ার আলী আকবরের ছেলে ছৈয়দ হোসেন ওরফে বাবুল (৩৩), দক্ষিণ পাড়ার কালা মিয়া ওরফে লম্বা কালুর ছেলে ফজল কাদের (৪৭), হোয়াইক্যং রোজার ঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ (৩২) ও কম্বনিয়া এলাকার ফিরুজের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭)।

    বুধবার (২৭ মার্চ)  রাত ১১ টার সময় টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের রৈক্যং এলাকার ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড় থেকে তাদেরকে ফেরত আনা হয়।  

    ফেরত আসা শাকিলের পিতা লেদু মিয়া বলেন, বুধবার রাত ১১ টার সময় ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর তার ছেলেকে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। ঋণ নিয়ে ছেলেকে অপহরণকারীর হাত থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন। তার ছেলের সঙ্গে অপহরণ হওয়া ১০ জনই মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান তিনি। এভাবে অন্যান্যরা মুক্তিপণ দিয়েছেন বললেও নাম প্রকাশ করতে চাননি। এতে সব মিলিয়ে তারা ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েছেন বলে এক হিসেবে দেখা গেছে।

    হোয়াইক্যং কানজর পাড়া এলাকার শেখ কবির জানান, সকালে ১০ জন কিশোর ও যুবক পাহাড়ে কাজ করতে যায়। অপহরণকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ১০ জনকে রৈক্যং পাহাড়ে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। 

    এদিকে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃত ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ দাবি করছে, সাড়ে ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃত ১০ জনকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় টেকনাফের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। 

    এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ১০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই।

    ওসি ওসমান গণি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর টেকনাফ থানা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ফাঁড়ির ৫০ জন পুলিশ একযোগে টেকনাফের জাহাজপুরা পাহাড়ে অভিযান চালায়। 

    তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অভিযানে যোগ দেয় র‍্যাব সদস্যরাও। অভিযানের এক পর্যায়ে পুরো পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। তারপর রাতে সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃত ১০ জনকে পাহাড়ে ছেড়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারী চক্রটি। এরপর তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এখন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর অপহরণকারীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান চলমান রয়েছে। 


    সংবাদটি শেয়ার করুন


    সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিয়াউল হক
    নির্বাহী সম্পাদকঃ মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ


    যোগাযোগ- মুজিব সড়ক, কমিউনিটি হাসপাতাল ৫ তলা, সিরাজগঞ্জ
    ইমেইল- sonardesh24.corr@gmail.com
    মোবাইল : 01324 977 175, 01716-076444




    Copyright © 2024 - All right reserved by Sonar Desh 24 Ltd