মঙ্গলবার, ২২শে অক্টোবর,
২০২৪

  • খেলাধুলা

  • মিলারের সেই ক্যাচের গল্প শোনালেন সূর্যকুমার


    সোনারদেশ ২৪ ডেস্ক


    মঙ্গলবার, ২রা জুলাই,

    ২০২৪

    /

    38 বার পড়া হয়েছে


    a

    সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ


    ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণ মেলানো আধুনিক যুগের ক্রিকেটে কিছুই নয়। ক্রিজে যখন ডেভিড মিলারের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকে তখন ম্যাচ ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই বেশি থাকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তেমন কিছু হলো না। ডেভিড মিলার প্রথম বলেই ফিরলেন সাজঘরে। এরপর ভারত ৭ রানে ম্যাচ জিতে পেয়ে যায় স্বপ্নের শিরোপা। 

    ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় ওভারের প্রথম বল। হার্দিক পান্ডিয়ার অফস্টাম্পের বাইরের ফুলটস বল লং অন দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন মিলার। ঠিকঠাক টাইমিং মেলালেও সীমানায় সূর্যকুমার যাদব লাফিয়ে আচমকা এক ক্যাচ নিয়ে পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দেন। লাফিয়ে বল আটকে দেওয়ার পর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে আবার হওয়ায় বল ছুঁড়েন। সীমানার বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে দারুণ ক্যাচ নিয়ে মিলারের ফেরার পথ মসৃণ করেন সূর্যকুমার।

    ওই ক্যাচ নিয়ে এখনো চর্চা হচ্ছে। প্রশংসায় ভাসছেন সূর্যকুমার। তার থেকেও জানা গেল ম্যাচের রোমাঞ্চকর মুহূর্তে তার তার মনে কি কাজ করছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ক্যাচের আগে-পরের এবং বিহাইন্ড দ্য সিনের গল্প শুনিয়েছেন সূর্যকুমার, রোহিত ভাই সচরাচর লং অনে দাঁড়ায় না। কিন্তু ওই মুহূর্তে রোহিত সেখানেই ছিল। বল যখন আসছিল, আমি তার দিকে তাকিয়েছিলাম। উনিও আমার দিকে তাকিয়েছিল। আমি দৌড়াচ্ছিলাম এবং আমার লক্ষ্য ছিল বলটা ক্যাচ নেব। উনি হয়তো কাছে চলে আসবে। তাহলে আমি বল থ্রো করে উনাকে দিতে পারব। কিন্তু উনি একদমই নড়েননি। পরের চার-পাঁচ সেকেন্ডে কি হয়েছিল আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

    ক্যাচটা কি পরিস্কার হয়েছিল? এমন প্রশ্নে সূর্যকুমারের সোজাসাপ্টা উত্তর, বলটা যখন ভেতরে পাঠিয়ে আবার লুফে নেই, নিশ্চিত ছিলাম ক্যাচ হয়েছে। আমি জানতাম আমি দড়ি স্পর্শ করিনি। আমি যে বিষয়ে সতর্ক ছিলাম তা হল আমি যখন বলটিকে ভিতরে ঠেলে দিই, তখন আমার পা দড়িতে স্পর্শ করেছে কি না। আমি জানতাম এটা পরিস্কার ক্যাচ। আড়ালে, যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। বলটা যদি সত্যিই ছক্কা হয়ে যেত তাহলে সমীকরণটা পাঁচ বলে ১০ রানে নেমে আসত। আমরা তারপরও হয়তো জিততে পারতাম। কিন্তু জয়ের ব্যবধানটা খুব কাছাকাছি চলে যেত।

    ওই চার-পাঁচ সেকেন্ডে যা হলো তা বর্ণনাতীত। ক্যাচটা নেওয়ার জন্য মানুষের থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, অবিশ্বাস্য। মানুষ ফোন দিচ্ছে, মেসেজ করছে। আমার হোয়াটস্যআপে ১০০০টিরও বেশি আনরিড মেসেজ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাচটা দারুণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য আমি বেশ কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ যে, আমি খেলার সেই পাঁচ সেকেন্ডে সেখানে ছিলাম।

    নিজের এই অর্জনের জন্য ফিল্ডিং কোচ দিলিপের প্রশংসা করেছেন সূর্যকুমার, যে ক্যাচটা আমি নিয়েছি, আমি বিভিন্ন মাঠে এই অনুশীলনটা করেছি। কারণ বাতাসের তারতম্যে বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়। ম্যাচের আগের দিন আমি ১০-১২ মিনিট বেশ ভালো ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। যেখানে দশটার বেশি হাই ক্যাচ নিয়েছি। এছাড়া ফ্ল্যাট ক্যাচ, ডিরেক্ট হিট, স্লিপ ক্যাচও ছিল। এটা কিন্তু একদিনের অনুশীলন ছিল না। আমরা এ ধরণের অনুশীলন নিত্যদিন করি। আইপিএলও করি, দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও করি। ফাইনালে যেটা পেয়েছি সেটা হলো আমাদের পরিশ্রমের ফল। 


    সংবাদটি শেয়ার করুন


    সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিয়াউল হক
    নির্বাহী সম্পাদকঃ মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ


    যোগাযোগ- মুজিব সড়ক, কমিউনিটি হাসপাতাল ৫ তলা, সিরাজগঞ্জ
    ইমেইল- sonardesh24.corr@gmail.com
    মোবাইল : 01324 977 175, 01716-076444




    Copyright © 2024 - All right reserved by Sonar Desh 24 Ltd