শনিবার, ২৭শে জুলাই,
২০২৪

  • সারাদেশ ঢাকা

  • মাদারীপুরে স্ত্রীর নামে ২৭৬ বিঘা জমি কিনেছেন বেনজীর


    সোনারদেশ ২৪ ডেস্ক


    সোমবার, ৩রা জুন,

    ২০২৪

    /

    39 বার পড়া হয়েছে


    a

    সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ


    মাদারীপুরেও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। জেলার রাজৈরে স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে ২৭৬ বিঘা জমি নামমাত্র মূল্যে তিনি  কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

    বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ অবসরে যাওয়ার আগে স্ত্রীর নামে এসব জমি কিনেছেন। জমিগুলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামের ডুমুরিয়া মৌজায়। আইজিপি থাকা অবস্থায় ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি তিনি কিনেছেন। দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। হিসাব করে দেখা যায়, বিঘা প্রতি জমির দাম পড়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অথচ জমির বাজার মূল্য এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭৬ বিঘা জমির অধিকাংশ জমিই বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যহার করে কিনেছেন। যারা জমি বিক্রি করতে চাননি তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। কেউ জমি লিখে দিতে না চাইলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। 

    বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ অবসরে যাওয়ার আগে স্ত্রীর নামে এসব জমি কিনেছেন। জমিগুলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাতপাড় গ্রামের ডুমুরিয়া মৌজায়। আইজিপি থাকা অবস্থায় ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি তিনি কিনেছেন। দলিলমূল্য দেখানো হয়েছে মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। হিসাব করে দেখা যায়, বিঘা প্রতি জমির দাম পড়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অথচ জমির বাজার মূল্য এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭৬ বিঘা জমির অধিকাংশ জমিই বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যহার করে কিনেছেন। যারা জমি বিক্রি করতে চাননি তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। কেউ জমি লিখে দিতে না চাইলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। 

    স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ত্রীর নামে এসব জমি নামমাত্র মূল্যে তিনি কিনেছেন। এ কাজে সহায়তা করেছেন তৈয়ব আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তৈয়ব আলী এলাকায় পুলিশের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। রাজৈরে ১১৩টি দলিলে ২৭৬ বিঘা জমি কেনা ছাড়াও এর আগে শিবচর ঠেঙ্গামারা মৌজায় ২০১৫ সালে ৫ কাঠা জমি কেনেন বেনজীর আহমেদ।

    রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ভাষারাম সেন বলেন, ২৪ একর ৮৩ শতাংশ ফসলি জমি আমাদের বংশীয় লোকেদের। সবটুকু জমি কিনেছেন বেনজীর আহমেদ। বিঘাপ্রতি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই জমি কিনে নেন তিনি। এ জন্য কৌশলে তিনি প্রথমে চারদিক থেকে জমি কিনে নেন, তারপর মাঝখানে আমাদের জমি থাকায় সেটা লিখে দিতে বাধ্য করেন।

    সাতপাড় ডুমুরিয়া গ্রামের সরস্বতী রায় (৭০) বলেন, আমরা জমি দিতে চাইনি। ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেন বেনজীর। এই জমিতে ফসল হতো। লিখে নেওয়ার পর আমাদের চাষাবাদ করার আর কোনো জমি নেই। এই ফসলি জমিটুকু অনেক কষ্টে ধরে রাখছিলাম, কিন্তু সেটারও আর শেষ রক্ষা হলো না।

    বড়খোলা গ্রামের বাসিন্দা রসময় বিশ্বাস বলেন, বেনজীর আহমেদ আমাদের কাছ থেকে ৩২ শতাংশ জমি নিয়েছেন।

    একই কথা জানান পার্শ্ববর্তী কদমবাড়ি এলাকার সুকদেব বালার ছেলে অমল বালা। আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন বেনজীরের লোকজন। তার লোকজন বলেছে, ‘জমি লিখে না দিলে বিমানে করে বাড়িতে নামতে হবে। চারপাশ আটকে দেব।

    এমন অত্যাচারে অনেকেই জমি লিখে দিয়েছে বলে জানান অমল বালা। মাদারীপুর আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বলেন, জোরপূর্বক কারও সম্পত্তি লিখে নেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। ভুক্তভোগীরা চাইলে মামলা করতে পারেন।

    মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বেনজীর আহমদ ও তার পরিবার। দুদকের শুধু অবৈধ সম্পদের হিসাব নিলেই হবে না। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে তিনি যে জঘন্য অপরাধ করেছেন তার বিচারও হওয়া দরকার।


    সংবাদটি শেয়ার করুন


    সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিয়াউল হক
    নির্বাহী সম্পাদকঃ মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ


    যোগাযোগ- মুজিব সড়ক, কমিউনিটি হাসপাতাল ৫ তলা, সিরাজগঞ্জ
    ইমেইল- sonardesh24.corr@gmail.com
    মোবাইল : 01324 977 175, 01716-076444




    Copyright © 2024 - All right reserved by Sonar Desh 24 Ltd