২০২৪
68 বার পড়া হয়েছে
জধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভর্তিতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে ভর্তির অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ মে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে ২১ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
গত ২০ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি বাতিল করা ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে ভর্তির বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে ভর্তির অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা (স্টেটাসকো) জারি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আইনজীবীরা জানান, আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাটারে স্টেটাসকো (বিষয় বস্তুর ওউপর স্থিতাবস্থা) দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে এখন সব কিছুই স্থিতাবস্থায় থাকবে। কেউ ক্লাস করতে পারবে না এবং শূন্য আসনে কেউ ভর্তিও হতে পারবে না। তার মানে যেমন আছে, তেমনই থাকবে।
গত ৬ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির নির্দেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বাতিলকৃত শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।
ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
এতে ভিকারুননিসার চারটি শাখায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে মাউশিকে অবহিত করতে বলা হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাউশির ওই সিদ্ধান্ত (স্মারক) বাস্তবায়ন (কমপ¬ায়েন্স) বিষয়ে হলফনামা আকারে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে ৬ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়।