২০২৫
7 বার পড়া হয়েছে
গত ১০ জানুয়ারি রাতে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে প্রকাশ্যে কোপানো হয় দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে। ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত মুখ ঢেকে, হেলমেট পরে চালায় এ হামলা। পরে ভাইরাল হয় চাপাতি দিয়ে কোপানোর একটি ভিডিও। ঘটনার পর সামনে এসেছে ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে জামিনে ছাড়া পাওয়া অপরাধ জগতের শীর্ষ দুই মাফিয়ার নাম।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এ হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে হাজারীবাগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির দ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে জামিনে বের হন এই দুই সন্ত্রাসী। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন অপরাধ জগৎ।
গত ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাতে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যেই ২০-২৫ জন দুর্বৃত্তের এক থেকে দেড় মিনিটের অতর্কিত হামলার শিকার হন এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল হাসান দীপু এবং ইপিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান) যুগ্ম সদস্য সচিব এহতেশামুল হক। এ ঘটনার ১০-১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে চাপাতি দিয়ে কোপানোর নৃশংসতা দেখা গেছে।
হাত ও পায়ে মারাত্মক জখম নিয়ে এহতেশাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। আর হাতে জখম নিয়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেয়ে ১১ জানুয়ারি রাতে নিউমার্কেট থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ব্যবসায়ী দীপু। ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী দীপু মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের বড় ভাই।
দায়ের করা মামলায় তিনি চাঁদাবাজির জেরে হামলায় জড়িত হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করেন। মামলায় প্রধান আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ওরফে ইমন (৫২)।