২০২৫
28 বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরে মালামাল লুট করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক ১১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিন মিয়া তাদেরকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মাইক্রোবাসে করে জনসাধারণের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা সাতজনকে আটক করে। তারা দুর্বৃত্তদের মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাদের সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। এছাড়াও একই দিন দুপুরে জালকুড়ি এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির মালামাল লুট করার সময় চারজনকে আটক করে স্কাউট সদস্যরা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকার সাহেব আলীর ছেলে মজিবর (৪২), একই এলাকার মৃত ওয়ালী মিয়ার ছেলে মো. কবির (৬৫), উপজেলার সালেহনগর এলাকার সৈয়দ সামসুউদ্দিনের ছেলে মাসুদ (৩৫), মো. বাছেদ মিয়ার ছেলে মো. মিন্টু (৩৭), আক্তার হায়দারের ছেলে মো. সুমন (৪০), নারায়ণ দত্তের ছেলে সুমন (৪৫), বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রুবেল (৩০), নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার দ্বীন ইসলাম, একই এলাকার মো. সাকিল হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জের নবী। এছাড়াও বাকি একজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, লুট করার সময় পৃথক ঘটনায় মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর করছে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।