২০২৫
20 বার পড়া হয়েছে
শরীরে প্রায় তিন শতাধিক গুলির স্প্লিন্টার নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মো. রাশেদুল করিম ওরফে রাফাত (২৮)। স্বপ্ন ছিল বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করার। কিন্তু এখন বৃদ্ধ বাবা-মার বোঝা হয়ে গুলির যন্ত্রণা নিয়ে কাটছে দিন।
মো. রাশেদুল করিম ওরফে রাফাত রাজবাড়ী পৌরসভার কাজীকান্দা এলাকার মো. সামছুউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। ২০২২ সালে আসহানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন। ঢাকার গোলাপবাগে বড় বোনের বাসায় থাকতেন তিনি।
গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার বাজার করতে বের হয়ে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সংঘর্ষের মাঝে পড়ে পিঠ ও হাতে গুলিবিদ্ধ হন রাফাত। এ সময় তার হাত ও পিঠে প্রায় ৪ শতাধিক ছররা গুলি লাগে। গুলিগুলো খুব কাছ থেকে করায় চামড়া ভেদ করে মাংসপেশীর ভেতরে ঢুকে যায়। পাশাপাশি তার বাম হাতের কব্জি ভেঙে যাওয়াসহ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
পরে কয়েকজন তাকে ধরাধরি করে প্রথমে শনিরআখড়ার সালমান হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখনে দায়িত্বরতরা ভর্তি না নেওয়ার নির্দেশনা আছে জানিয়ে ব্যান্ডেজ ও একটি ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দিলে পালস স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানেও ভর্তি নেন না কর্তব্যরতরা। সে সময় তার ডাক্তার ভাইয়ের অনুরোধে তারা তার পিঠ ও হাত থেকে কিছু স্প্লিন্টার বের করে স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেয়। এমনকি ডেলটা হাসপাতালে গেলেও ভর্তি নেয়নি। শেষমেশ তার ভাই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক সার্জারি ডা. এজেডএম রেজাউল করিম রাজবাড়ী থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাকে রাজবাড়ীতে এনে ৭৯টি স্প্লিন্টার বের করে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এখনও তার হাত ও পিঠে প্রায় ৩ শতাধিক স্প্লিন্টার রয়ে গেছে।
পরে কয়েকজন তাকে ধরাধরি করে প্রথমে শনিরআখড়ার সালমান হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখনে দায়িত্বরতরা ভর্তি না নেওয়ার নির্দেশনা আছে জানিয়ে ব্যান্ডেজ ও একটি ইনজেকশন দিয়ে ছেড়ে দিলে পালস স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানেও ভর্তি নেন না কর্তব্যরতরা। সে সময় তার ডাক্তার ভাইয়ের অনুরোধে তারা তার পিঠ ও হাত থেকে কিছু স্প্লিন্টার বের করে স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেয়। এমনকি ডেলটা হাসপাতালে গেলেও ভর্তি নেয়নি। শেষমেশ তার ভাই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক সার্জারি ডা. এজেডএম রেজাউল করিম রাজবাড়ী থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাকে রাজবাড়ীতে এনে ৭৯টি স্প্লিন্টার বের করে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এখনও তার হাত ও পিঠে প্রায় ৩ শতাধিক স্প্লিন্টার রয়ে গেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজবাড়ীতে বড় ধরনের হতাহতের তেমন কোনো ঘটনা না ঘটলেও ঢাকা ও সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবাড়ীর দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত ও বেশ ককেজন আহত হয়েছেন। আহতদের একজন রাফাত।