২০২৪
27 বার পড়া হয়েছে
বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। সেই মামলায় সম্প্রতি জামিন পেলেও আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই কারণে আগেভাগেই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হল না। ‘কাকু’র আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত।
ইডি এবং সিবিআই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সিই তদন্ত চালাচ্ছে। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেই প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra)। এবার তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। এমতাবস্থায় ফের গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কালীঘাটের কাকু। তবে এদিন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে সুজয়কৃষ্ণের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী এদিন বলেন, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। এর মানে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে যে কোনও সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সি ‘কাকু’কে হেফাজতে নিতে পারে বলে দাবি করা হয়।
একথা শোনার পর জাস্টিস বাগচি জিজ্ঞেস করেন, সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করতে হবে। সেটা কেন সম্ভব হয়নি? গ্রেফতারের জন্য যে সকল আইনি প্রক্রিয়া করা দরকার, সেগুলি করা হয়েছে কিনা জানতে চান বিচারপতি। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, অভিযুক্তকে হেফাজতে কেন নেওয়া হয়নি?
হাইকোর্ট এদিন বলে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে জামিনের অধিকার থাকবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী তখন জানান, কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। জেল সুপার জানিয়েছিলেন, তিনি সেই অবস্থায় নেই। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে এখন যেহেতু প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়ে গিয়েছে ও যে কোনও সময় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া যায়, তাই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তাঁর জামিনের আর্জি জানানো উচিত বলে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
পাল্টা সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বলেন, সিবিআই যে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের কথা বলছে, সেটা এখনও কার্যকর হয়নি। হেফাজতে নেওয়ার জন্য নোটিশ জারি হয়েছে, গ্রেফতারি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। সেই কারণে আগাম জামিনের আর্জি জানানোই যায়। উভয় পক্ষের মতামত শোনার পর কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
তাতেও লাভ
হল না!