২০২৪
22 বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিগত কয়েক দিন ধরেই ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। তাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সারা দেশেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘ব্লকেড’ তৈরি করেন।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কারওয়ান বাজার রেলগেটে ‘রেললাইন ব্লকেড’ করেন। ফলে ঢাকার সাথে দেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে ঢাকা স্টেশন থেকে কোনওোট্রেন ছেড়ে যায়নি। আর ঢাকা স্টেশনেও কোনো ট্রেন প্রবেশ করতে পারেনি। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো জয়দেবপুর, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে। অবশেষে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে কারওয়ান বাজার রেলগেট থেকে ‘রেল ব্লকেড’ তুলে নিলে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেলযোগাযোগ আবার স্বাভাবিক হয়।
এদিকে এরই মধ্যে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দুই দিন ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে রাজধানী স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজপথ অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার আবারও ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।