আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সোনারদেশ২৪:
অনেকেই নিজের বাড়ির পোষ্যদের সন্তান স্নেহে বড় করে তোলেন৷ ঠিক যেমনটা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বাসিন্দা নিকিতা পিল নামে এক যুবতী৷ কিন্তু সন্তান স্নেহে বড় করে তোলা সেই পোষ্যরাই যে তার উপরে প্রায় প্রাণঘাতী হামলা চালাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি ৩১ বছর বয়সি নিকিতা৷
পোষ্য দুই রটওয়েইলার প্রজাতির কুকুরের আক্রমণে প্রায় প্রাণ যেতে বসেছিল তাঁর৷ বর্তমানে পার্থের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিকিতা৷ পোষা দুই সারমেয় নিকিতার সারা শরীরে এমন ভাবে কামড়েছে যে তাঁর একটি হাত বাঁচানোই এখন চিকিৎসকদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নিকিতার কাছে ব্রনস এবং হারলেম নামে দুটি রটওয়েইলার প্রজাতির কুকুর ছিল৷ তাদেরকে নিজের সন্তান বলেও সমাজমাধ্যমে পরিচয় দিতেন ওই তরুণী৷ দিন কয়েক আগে আচমকাই ওই তরুণীর আর্ত চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা৷ সঙ্গে সঙ্গেই নিকিতার বাড়িতে ছুটে যান তাঁরা৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে চোখের সামনে যে দৃশ্য তাঁরা দেখেন, তাতে আঁতকে ওঠেন প্রত্যেকেই৷
প্রতিবেশীরা দেখেন, হিংস্র ভাবে নিকিতার উপরে আক্রমণ করেছে তাঁরই পোষা দুটি কুকুর৷ কামড়ে নিকিতার গোটা শরীর কার্যত ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে রটওয়েইলার প্রজাতির কুকুর দুটি৷ নিকিতাকে বাঁচাতে কুকুর দুটিকে কোনওক্রমে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রতিবেশীরা৷ পাইপ দিয়ে জল ছিঁটিয়ে, ব্যাট দিয়ে আঘাত করে কুকুর দুটিকে সরানোর চেষ্টা করেন তাঁরা৷ কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি৷