সোনারদেশ২৪: ডেস্কঃ
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং যেন ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রোদ ও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং চলছে। আর ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশিমতো লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলছেন, ‘বিদ্যুৎ এখন যায় না, মাঝেমধ্যে আসে।’
এবিষয়ে খিলক্ষেতের বাসিন্দা আফসানা রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তার ওপর বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এর ফলে বাচ্চা নিয়ে প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতির মধ্যে একটু প্রশান্তির আশায় ভিড় বাড়ে শরবত ও জুসের দোকানে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া এই মানুষেরা বলছেন, তীব্র গরমে কমেছে রোজগার।
শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।
তবে রাজধানীর বাইরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ। কোনো কোনো জেলায় বিদ্যুৎ থাকছে না দৈনিক গড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ঘাটতির কারণেই লোডশেডিং বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভূত ছিল ৪২ ডিগ্রি। এর আগে রাজধানীতে জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।