লাইফস্টাইল ডেস্কঃ সোনারদেশ২৪:
জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ— সব মিলিয়ে মানুষের মধ্যে বাড়ছে বেশ কিছু রোগের প্রকোপ। তার অন্যতম হল ডায়াবেটিস। সময় মতো এই রোগের চিকিৎসা না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে বারবার সতর্ক করেন চিকিৎসকেরা। এমনকী ডায়াবেটিস থেকে পরবর্তীকালে শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতিও হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে হৃদরোগের আশঙ্কা। কার্যক্ষমতা হারাতে পারে কিডনি। ডায়াবেটিস এড়াতে গেলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই একমাত্র পথ।
বর্তমানে ডায়াবেটিস কেবল বয়স্কদের নয়, অল্প বয়সী যুবক এমনকী শিশুদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের পথ রয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিলে মুক্তি পেতে পারেন।
রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হয়। আয়ুর্বেদে চরক সংহিতা ও সুশ্রুত সংহিতায় এই রোগের চিকিৎসা বর্ণিত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের পণ্ডিত খুশিলাল আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের অধ্যাপক কামিনী সোনি জানান, পঞ্চকর্ম থেরাপির মাধ্যমে দু’টি উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রথমটি হল ডায়েট এবং দ্বিতীয়টি হল ব্যায়াম। ডায়াবেটিস রোগীদের সপ্তাহে প্রতিদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ব্যায়াম করা উচিত।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়:
সুগারের রোগীরা গুড়মার (মেষশৃঙ্গ), বিজয় সর্গ আমলকী, হলুদ, মেথি ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমলকী কার্যকর। অন্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা করতে পারে আমলকী।
এজন্য কাঁচা আমলকী বেটে ১০ মিলিলিটার রস বের করে নিতে হবে। এর মধ্যে আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেতে হবে। ভাল ফলাফলের জন্য, তিন সপ্তাহ এভাবে সেবন করতে হবে। তারপরে দুই সপ্তাহের বিরতি দিয়ে আবার একই ভাবে খেতে হবে।
সাধারণত হলুদ উষ্ণ প্রকৃতির। কিন্তু আমলকীর সঙ্গে মেশালে এটি শীতলতা প্রদান করে।
আয়ুর্বেদের পঞ্চকর্ম থেরাপির মাধ্যমে রোগীরা সহজেই ডায়াবেটিস থেকে রেহাই পেতে পারেন। পাশাপাশি গুডুচি, আমলকী, নিশা আমলকী, গুড়মার, ত্রিফলার কাত্থ দিয়েও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়।