২০২৪
32 বার পড়া হয়েছে
বিটিসিএল, টেলিটককে লাভজনক বা বেসরকারি নয় বরং দুর্নীতিমুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণ দেখতে চায় বলে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি এক ঘোষণায় বলেছেন, টেলিটক, বিটিসিএল ও টেশিসকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে দিয়ে দেবেন। বলা চলে বিক্রি করে দেবেন।
তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিটক, বিটিসিএল ও টেশিসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত না করে, এসব প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারার অক্ষমতায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে কতিপয় উচ্চাভিলাষী অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারের নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিরাও। এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেওয়া এবং বাজারে একটি ভারসাম্যমূলক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা। এসব প্রতিষ্ঠানকে লাভজনকে হিসেবে গড়ে তোলার জন্য করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকার কখনো ব্যবসা করতে পারে না। সরকার বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য একটি ভারসাম্য তৈরি করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে বাজারে মনোপলি ও অলিগোপলি সৃষ্টি হবে। গ্রাহক সেবা পেতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ এবং হয়রানির শিকার হতে হবে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৩ হাজার। বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার অধিক সম্পদ আছে এ প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু দুর্নীতি আর জবাবদিহিতা না থাকার ফলে গ্রাহকরা এর কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়নি। এটি বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনের কারণে। এসব তদন্ত না করে বেসরকারিকরন করার উদ্দেশ্য কী?
তিনি বলেন, দুর্নীতি, জবাবদিহিতা না থাকা এবং অবৈধ কারবারে নিয়োজিত থাকা কর্মকর্তাদের কারণে টেলিটকেরও বেহাল দশা। সবার আগে এদের জবাবদিহিতা ও শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে পারে না। বেসরকারি খাতে নয়, বাজার প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করুক।